হাওয়াপাখির উপাখ্যান ও অন্যান্য লেখা : একটি ব্যক্তিগত গদ্য
যে যাই বলুক না কেন যাদবপুরে ছাত্রছাত্রীরাই রাজা। যতদিন ছাত্র ছিলাম
রাজার মতোই ছিলাম। কোনোকিছুকেই বিশেষ রেয়াৎ করিনি। আমার আবার লেখালেখির শখ। তার
কিছু কিছু ছাপাও হচ্ছিলো। বন্ধুবান্ধব, শিক্ষকরা উৎসাহ দিতেন। এসব নিয়ে ভালোই
ছিলাম। কিন্তু সব কিছুরই আয়ু নির্দিষ্ট। সুখের সময়ও ঢলে আসছিল। এম.এ-র রেজাল্ট
বেরাল। জেনে হোক না জেনে হোক যাকে সবচেয়ে কাছের বলে ভেবেছিলাম সে এতদিন ধরে সবরকম
প্রশ্রয়ের পর নিজের জীবন বুঝে নিতে বলল, বলল “সমস্যাটা তোর”। আমার পৃথিবীর রঙ পাল্টে গেল।
এতদিন লাল, নীল, সবুজে জীবনটা পূর্ণ ছিল। হঠাৎ তার বর্ণ ধূসর,
কপিশ হয়ে দাঁড়াল। এম.এর শেষ, বন্ধুরাও যে যার
রাস্তা দেখবেই, ব্যস্ত হয়ে পড়বেই। হঠাৎ করে একা হয়ে গেলাম।
এই বিবর্ণতার রঙটাই আমার প্রথম কবিতার বইয়ে আঁকা আছে। তার আগের বর্ণগুলো কোথাও
লিখিনি, হয়তো লিখবোও না। “উড়ো ক্লাসঘর,
সেই বুড়ো ক্লাসঘর, তোমাদের কথা আমি কাউকে
বলিনি” । অনেক পরে দেখলাম এরকমই অভিজ্ঞতা
ছিল টাজাকিরও। তাঁর পাঁচজন বন্ধুর নাম কোনো না কোনো রঙের সঙ্কেত বহন করে। একদিন
তার বন্ধুরা কোনো কারণ না দেখিয়ে তাকে বিদায় দেয়। তারপর থেকে তার জীবনটা হয়ে
দাঁড়ায় colorless, “Colorless Tsukuru - tazaki and his years of pilgrimage”। শূন্য রামধনুর আবছায়ার ভিতর দিয়ে তাহলে কেমন ছিল তার
যাত্রাপথ ? উপন্যাসটা পুরোটা পড়িনি, কিছুটা পড়ে রেখে দিয়েছি।
তিনটে উপন্যাস বাদে মুরাকামির বাদবাকি সব উপন্যাসই আমার পড়া। বাকিগুলো রেখে রেখে
পড়ব, যতদিন না পরের উপন্যাস বেরোয়। সব শেষ করে ফেললে মুশকিল।
মুরাকামির উপন্যাস প্রথম দেখি রাজলক্ষ্মী-দির বাড়িতে। অনেক বইয়ের সঙ্গেই কাফকা অন
দ্য শোর-টা সেখানে রাখা ছিল। শুনলাম ইনি খুব গুরুত্বপূর্ণ এক সমসাময়িক লেখক। নাম
শুনে ভেবেছিলাম ইনি বোধয় লেখিকা। পরে জানলাম না, সেটা নয়।
ঝটকা লাগল ‘এক ডজন মুরাকামি’ বইটা পড়ে।
‘জন্মদিনে মেয়েটি’ বা ‘হাতিটা উধাও’ বা ‘এই মৌনতা’র মতো গল্প পড়ে তাজ্জব হয়ে গেলাম। অথচ কফিহাউসের এক প্রাজ্ঞের মুখে শুনেছিলাম
‘ছোটোগল্প’ জঁরটাই নাকি বিদায় নিয়েছে!
তারপর রাজলক্ষ্মী-দির কাছেই খোঁজখবর নিয়ে ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে পড়ে ফেললাম ‘Wind
up Bird Chronicle’, হাওয়াপাখির উপাখ্যান।
সবচেয়ে সেরাটা সবচেয়ে আগে পড়ে ফেললাম। প্রথম রাত্তিরেই বিড়াল বধ হল। তারপর থেকে
ধারাবাহিকভাবে পড়ে চলেছি। বিগত পাঁচ ছ বছরে আমার একটা প্রাপ্তি যদি যাদবপুরে পড়ানো
হয়, যদি একটু একটু করে গড়ে ওঠা আমার বান্ধবীর সঙ্গে
সম্পর্কটা আমার একটা প্রাপ্তি হয়, তবে একটা প্রাপ্তি অবশ্যই
মুরাকামি পড়া; নাওয়াখাওয়া ভুলে, রাত
জেগে। অ্যাডিক্ট হয়ে যেতে হয়। বস্তুত এই চ্যালেঞ্জটা কিন্তু আজকের লেখকদের নিতেই
হবে, আজকে মানুষ ফোন, ইন্টারনেট,
টিভি, মদে কমবেশি আসক্ত। সেখান থেকে তাকে
বইয়ের পাতায় টেনে আনতে হলে তাকে নেশা ধরানো দরকার। কাজটা দুঃসাধ্য সন্দেহ নেই।
কিন্তু মুরাকামি পেরেছেন, পারছেন।
মুরাকামির গল্পগুলো গোয়েন্দা কাহিনির মতো। কিন্তু গোয়েন্দা কাহিনি নয়, সাইন্স ফিকশন,
জ্যাজ মিউজিকের নানা অনুসঙ্গ তাতে হামেশাই আসে, আসতে থাকে। মুরাকামির উপন্যাসে ব্যবহৃত নানা জ্যাজের প্লেলিস্ট আমি
ইন্টারনেটে একাধিক দেখেছি। আসলে মুরাকামির নভেলে যেটা থাকে সেটা হল একা মানুষের
আবহ। প্রথমত এবং শেষ পর্যন্ত সে একা। অবস্থাটা খুব বেশি পাল্টাবার নয়। পাল্টাতে
পারে সেই আশাও কোথাও প্রকাশ করা হয়না। অ্যাডভান্সড ক্যাপিটালিজমের ভিতরে নিঃসঙ্গ
মানুষ, তার অভিযাত্রা এবং ছোট ছোট ক্ষেত্রবিশেষে চমকপ্রদ
যোগাযোগ ও উন্মোচন। কোন একটা কিছু হারায় নায়ক বা প্রধান চরিত্র, বাকি সময় ধরে সেটিকেই পুনরায় পাবার জন্য সে জুঁঝে যেতে থাকে। পথে তার
নানারকম অদ্ভুত চরিত্রের সঙ্গে পরিচয় হয়, আদানপ্রদান হয়,
সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নানারকম ম্যাজিকাল উপাদান ব্যবহৃত হতে দেখি
উপন্যাসে। এক অদ্ভুত রহস্যময় ধাঁধা গড়ে উঠতে থাকে, শেষে সেই
ধাঁধা আংশিক সমাধান হয়, পুরোটা হয় না। পাঠকের নাড়াচাড়া করার
জন্য, ভাবার জন্য নানা সূত্র উপন্যাসের শেষেও পড়ে থাকে।
কুমিকো, মে কাসাহারা, লিটুয়েন্ট
মিয়োহানা, এরিফুকুডা, ক্রেটা ক্যানো
এদের প্রত্যেকের গল্প আলাদা আলাদা। প্রত্যেকেই নিজের গল্পটা কারুর কাছে বলতে চায়।
প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে বিপন্ন, অথচ অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক
এই গল্পগুলি। কথকের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক হয়, কিন্তু লক্ষ
করলে দেখা যাবে ট্রেনের বন্ধুত্বের মতোই এই সম্পর্কগুলো অত্যন্ত আকস্মিক, কোনো শিকড় নেই সম্পর্কগুলোর। ফলে প্রতিটিরই আয়ু সীমিত। আসলে আজকে সারা
পৃথিবী জুড়ে তো বটেই বাংলাতেও মুরাকামি খুব পড়া হচ্ছে, অনুবাদ
হচ্ছে। তার কারণ এই কড়া বাস্তবটাকে কোথাও সেখানে অস্বীকার করা হয়না। জাদুবাস্তবতার
ভিত্তিতে বাস্তবতা প্রবলভাবে উপস্থিত। আমাদের পরিস্থিতির দিকে যখন তাকাই ভাবি এটাই
কি সব ! মফঃস্বলে বা গ্রামে তো এখনও প্রকৃতি কিছুটা আছে, সমাজবন্ধন
উপস্থিত। কিন্তু না, যখন বাড়ি যাই, মফঃস্বল,
পাশের গ্রামগুলোকে যখন দেখি ক্যাপিটালিজম তার দাঁড়া ঢুকিয়ে দিয়েছে
সেখানেও। সমাজ ভাঙছে, গভীর হতাশা ও অ্যালিয়েনেশন সেখানেও
উপস্থিত। আমাদের বাড়তি যেটা আছে সেটা হল সমাজের মুরুব্বিয়ানা , জ্যাঠাগিরি। সমাজের ভালো দিক আজ আর প্রায় কিছু না থাকলেও দাদাগিরিটা রয়ে
গেছে। এই চাপটা ঠিক ওদের নিতে হয়না।
দুই নারীর প্রসঙ্গে এই লেখকের নভেলে বারবার আসে। একজন তার স্ত্রী বা
বান্ধবী থাকে, সে হারিয়েছে। যাকে সে খুঁজছে। অন্যজন প্রায় হাঁটুর বয়েসি এক কিশোরী যাকে
সে জীবনের পথে প্রায় কুড়িয়ে পাচ্ছে। ‘উইন্ড আপ বার্ড
ক্রনিকেল’এ তার নাম মে কাসাহারা। নায়ক বা কথক তরু ওকাডা যখন
একটার পর একটা ভয়ের গর্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছে, নানাভাবে
বোঝার চেষ্টা করছে সমস্যার চরিত্র ও তার মোকাবিলার উপায়; তখন
তার একমাত্র ভরসা বা সঙ্গী হল এই কিশোরীটি। যৎসামান্য যেটুকু রিলিফ তা সে মে'র কাছ থেকেই পায়। স্ত্রী কুমিকো এই উপন্যাসে আবছা। কুমিকোর সঙ্গে নায়কের
পুনর্মিলনের সম্ভবনা তৈরি হলেও উপন্যাসটি এই কিশোরী চরিত্রটিকে দিয়েই শেষ হয়।
আমাদের মনে থেকে যায় প্রায় ছোটোগল্পের অপেক্ষা। কেন আবার কুমিকো ! কেন উইন্ড আপ
বার্ড থেকে গেলনা মে কাসাহারার সঙ্গেই !
এই যে একটা বিন্দু থেকে আর একটি বিন্দুতে পৌঁছনো; অত্যন্ত আতুর,
বিপন্ন অথচ দীপ্ত একটি ভঙ্গিতে এটি একটি ভয়েজ, একটি ওডিসির জন্ম দেয়। উত্তরাধুনিক পৃথিবীর ওডিসি। শেষ পর্যন্ত পথটুকুই
পাথেয় হয়ে যেতে থাকে। আর কিছু নয়। আজকের চূড়ান্ত অনিশ্চিত জীবনযাত্রার হয়তো এটাই
ভবিতব্য। আমরা কথক চরিত্রের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন করে ফেলি; সে
আমাদের মতোই ভঙ্গুর বিপন্ন অথচ চাওয়া পাওয়ার মূল জায়গাগুলোতে বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের
ক্ষেত্রে সে অত্যন্ত দৃঢ়। সবচেয়ে বড় কথা এই বিষাক্ত জগতটার মধ্যেও তার কিছু সদর্থক
মূল্যবোধ আছে। যেমন তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে যায়, অন্য নারীর
সঙ্গে তার সম্পর্ক হয় তার পরে। তার নিজস্ব একটা জীবনদৃষ্টি রয়েছে। কারো ক্ষতি করে
যেকরেই হোক এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা তার মধ্যে একেবারেই নেই। নিজের জগতটুকুতে সে
শান্তিতে থাকতে চায়। কিন্তু বাদ সাধে জীবন, হিংস্র সময়। সে বাধ্য
হয় অভিযাত্রায় বেরিয়ে পড়তে। ফলে তার সাথে রিলেট না করে আমরা পারি না।
আধুনিকতার একটা প্রকল্পই হল ভালো-মন্দকে মিশিয়ে দেওয়া, গুলিয়ে দেওয়া।
নিৎশে কথিত ‘বেয়ণ্ড গুড অ্যান্ড ইভিল’; মানুষের মধ্যেই আছে সাধু ও শয়তান এবং এটা মিশিয়েই সে কাজকর্ম করবে। এখন
জোর দিয়ে বলার সময় এসেছে, এটা মানিনা। আমার কিসে ভাল হয় এবং
সেই ভাল হওয়ার সূত্রে অন্তত একটা মানুষেরও কিভাবে ভাল হয় সেটা আমি চাইলে ঠিকই
বুঝতে পারি। আমি সেভাবেই চলব। আধুনিকতার প্রোজেক্টকে চ্যালেঞ্জ করার ব্যাপারটা
মুরাকামিতে আছে। ‘ওয়াইল্ড শিপ চেস’এ
ধুরন্ধর শিপ কিন্তু র্যাটের এই ভালোমন্দের বোধটাই গুলিয়ে দিতে চেয়েছিল, র্যাট সেটা শেষ পর্যন্ত মানেনি। লিটল পিপলরা ভাল মন্দকে পেরিয়ে গিয়ে নতুন
যুগ আনতে চায় পৃথিবীতে, বাচ্চা মেয়ে এরি ফুকুডা কিন্তু সেটা
মেনে নেয়নি। নিজের মতো করে তার বিরুদ্ধে গেছিল।
লিটুয়েন্ট মিয়োহানা চোখের সামনে দেখেছিলেন জ্যান্ত অবস্থায় তার
ক্যাপ্টেনের ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে মঙ্গোলিয়ার মরুভূমিতে। নিজে কপালজোরে বেঁচে
যান। সারাজীবন আর কখনো ঘুমাতে পারেনি। চোখ বুঝলেই শুনতে পেতেন সেই নিহতের চিৎকার
আর দৃশ্যগুলো। বেছে নেন একদম একলা নিঃসঙ্গ একটা জীবন। সেই অভিজ্ঞতা তিনি সারাজীবন
কারোর কাছে বলতে পারেননি,
লেখক ছাড়া।
ক্রেটা কানো সারাজীবন ধরে যন্ত্রণা সহ্য করে এসেছে। মানসিক এবং শারীরিক
যন্ত্রণা। সেই রোগের কারণ কখনো আবিষ্কৃত হয়নি। চূড়ান্ত একাকীত্ব ও অসহায়তায় সে
বেছে নেয় যৌনকর্মীর জীবন। সেখান থেকে নানা অভাবনীয় ঘটনার মোচড়ে প্রস্টিটিউট অফ
ফ্লেস থেকে হয়ে ওঠে প্রস্টিটিউট অফ মাইন্ড। খুব অদ্ভুত, অভাবনীয় সেই
গল্প।
ছোট্ট সিনামন ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে বারবার শুনত জাপানি সৈন্যদের
চিড়িয়াখানা আক্রমণের গল্প। নৃশংসভাবে যুদ্ধের প্রয়োজনে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের এক
অদ্ভুত ভোরবেলায় একে একে হত্যা করে তারা। সেই গল্প শুনতে শুনতে, তার গভীরে যেতে
যেতে তার বাকশক্তি হারিয়ে যায়। সে অত্যন্ত উচ্চমেধা সম্পন্ন এক তরুণ হয়ে ওঠে।
নানারকম কাজে দক্ষ। উপন্যাসের মীমাংসা শেষপর্যন্ত তার কাছ থেকেই বেরিয়ে আসে।
কিন্তু আর কখনোই সে কথার জগতে, ভাষার জগতে ফিরে আসে না।
মুরাকামির উপন্যাসে এইরকম নানা অদ্ভুত চিত্তাকর্ষক চরিত্রের এক নিরব
মিছিল যেন দেখতে পাই। পাঠক বুঝতে পারে চেয়ে বা না চেয়ে সেও এই মিছিলেরই অংশ।
মুরাকামি মার্কিন ক্রাইম লেখক রোমান স্যাণ্ডলার আর দস্তয়েভস্কিকে
মেলাতে চেয়েছিলেন। দস্তয়েভস্কিটাই বলা হবে কিন্তু চূড়ান্ত আকর্ষক পাল্প একটা
ভাষায়। এরমধ্যে ঢুকে পড়ছে থ্রিলার, সায়েন্স ফিকশনের নানা মোচড়, জ্যাজ গানের আবহ ও উত্তরাধুনিক জীবনদৃষ্টি। এর থেকে কিন্তু সৃষ্টিশীল
লেখকদের নানা জিনিস শেখার আছে। অর্থাৎ আভাগার্দ কিন্তু আদৌ হারিয়ে যাচ্ছে না।
সময়ের সঙ্গে নিজেকে পাল্টে সম্প্রসারিত হচ্ছে। আবার বাঙালি লেখকদের এটাও মাথায়
রাখতে হবে মিলটা বুঝে নিয়েও শেষ অবধি আমাদের পরিস্থিতির সঙ্গে পার্থক্যটা কোথায়,
অমিলটা কোথায়। তবেই নতুন উপন্যাস, গল্প লেখা
হতে পারে।
এবারেও নোবেল পেলেন না মুরাকামি। তাতে দুঃখ নেই, যোগ্য লোকই
পেয়েছেন। শেষপর্যন্ত মুরাকামির উপন্যাসকে বলা হচ্ছে হারুকি ফেনমেনন। এটা উপন্যাস
পড়ার অভিজ্ঞতাকেই বদলে দিয়েছে। মুরাকামির উপন্যাসে আসল মানে কি তা বোঝবার জন্যেও
অনেক বই লেখা হয় জাপানে। তার বিক্রি মূল বইয়ের চেয়ে কম নয়। বাংলাতেও তার প্রভাব
পড়ছে। মুরাকামির একাধিক অনুবাদ, মুরাকামি সংখ্যাও চোখে পড়েছে
। আস্তে আস্তে পাল্টে যাচ্ছে পাঠকের রুচি। এখন সাহিত্য যারা পড়েন তাঁরা আগের যুগের
চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম। কিন্তু খুব গুছিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে, জমিয়ে
তাঁরা সাহিত্যটা পড়েন। ফলে একদম আনকোরা অচেনা গল্প উপন্যাস লেখা হওয়ার জমিটা তৈরি।
কেউ না কেউ ঠিকই লিখে ফেলবে।
পুনশ্চ :- প্রসঙ্গত উইন্ড অব বার্ড ক্রনিকলের শুরুতেই একটি বিড়াল
হারিয়ে যায় তার নাম ছিল নরোবু ওটাওয়া। উপন্যাসের শেষে সে আবার ফিরে আসে। তখন তার
নাম হয় ম্যাকারেল। কেন এই পরিবর্তন তা যারা পড়েননি তাদের কাছে রহস্যই থাকুক।
ভিন্টেজ প্রকাশিত হারুকি মুরাকামির উপন্যাসগুলি, প্যারিস রিভিউতে
প্রকাশিত লেখকের সাক্ষাৎকার, মুরাকামির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে
দেওয়া তথ্যাবলি এই লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment